শীতের পিঠা বিক্রি করে চলছে তিন বোনের সংসার
হারুন রশিদ, ওসমানীনগর প্রতিনিধি : কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের বিকেল মানেই চলে পিঠা- পুলির উৎসব। শীতের মৌসুমে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন ফুটপাতে পিঠা বিক্রেতারা। গরম গরম পিঠার স্বাদ নিতে দোকানগুলোতে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এমন দৃশ্য দেখা গেছে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা তাজপুর বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে।
শীতের মৌসুমে পিঠা ব্যবসা করে এই রকম অনেক দরিদ্র মানুষের সংসার চালানোর পথ সুগম হয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। এমনি একটি পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেলো ওসমানীনগর তাজপুর বাজার ও কদমতলা এলাকায়, বোধবার বিকালে পিঠা বিক্রয়কালে কথা হয় পিঠা বিক্রেতা, তিন বোন বেগম,মনোয়ারা,ও সকিনার, সাথে এসময় বেগম জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সিলেটের ওসমানীনগর তাজপুর বাজার ও কদমতলায় তিনিসহ তারা তিন বোন পিঠা বিক্রি করে জীবিকা রক্ষা করে আসছেন। যদিও তাদের স্বামীরা দিনমজুরী কাজ করেন তবুও সংসারে সদস্য সংখ্যা বেশী থাকায় তাদের নুন আনতে পানতা ফুরায়, বেগম জানান তিনি কিশোর গঞ্জের করিমগঞ্জ থানার বাসিন্দা, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সিলেটে বসবাস করে আসছেন, তারা তিনবোনের
পরিবারে স্বামী স্ত্রী সন্তানাধীসহ মোট ১৮জন সদস্য নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে তাদের পরিবার, তাই সংসারের খরচ জোগাতে বেগম তাজপুর বাজারে সৌরভ মার্কেটের সামনে অল্প টাকার পুঁজিতে পিঠার দোকান দিয়ে আসছেন। প্রতি চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা ১০ টাকা দরে বিক্রি করা শুরু করেন। পিঠা বিক্রি শেষে দৈনিক তাঁর আয় হয় প্রায় ৫ শ থেকে হাজার টাকা। এই আয় দিয়েই চলে বেগমের সংসার এরপর বেগম তার দুই বোন মনোয়ারা,ও সকিনাকে পিঠা ব্যবসা শুরু করতে বলেন দুই বোন তাজপুর বাজারের মহাসড়কের দুই পাশে ফুটপাতে বসে অস্থায়ীভাবে একবোন কদমতলায় মহাসড়কের পাশে একইভাবে পিঠা বিক্রি শুরু করেন এবং এর আয়থেকে তাদের সংসার সুন্দর ভাবে চলে।