https://www.bartomansylhet.com/

5657

politics

প্রকাশিত

২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৬

পর্তুগালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) উদ্যোগে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকার সময় লিসবনে অবস্থিত টেস্ট অফ লিসবন রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পর্তুগালের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততার সহীত নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আলোচনা সভায় পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদারের সভাপতিত্বে, ও পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমদ সুইট এর সঞ্চালনায়, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য জামিল মিয়ার কোরআন তেলাওয়াত মধ্য দিয়ে যুবনেতা মোশাররফ হেসেন সুমনের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর মূল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন।

আলোচনা সভায় আনোয়ার হোসেন খোকন  ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরের পুরো প্রেক্ষাপট এবং শহীদ জিয়ার সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হোন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের নেতৃত্ব দেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন ও ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন বর্তমান পর্তুগাল বিএনপি অত্যন্ত দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে বেক্তির চেয়ে দল বড়,দলের চেয়ে দেশ, সুতরাং কোন বেক্তির কথায় দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবেনা, আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত দলে যারা বিশৃঙ্খলা করতেছেন দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করছে।

পর্তুগাল বিএনপির আহবায়ক আবু ইউসুফ তালুকদার বলেন, ১৯৯০ সালে দেশের সংকটকালে স্বৈরাচার এরশাদের পতনে ঘটাতে এগিয়ে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন মাদার অফ ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দেশকে নিয়ে গিয়ে ছিলেন উন্নয়নের শিখরে। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দিতে দেশি বিদেশী কুচক্রীমহলের সহায়তায় মইন-ফখর এক এগারো সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে তাবেদারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এই তাবেদার বাহিনী দেশের মানুষের সকল অধিকারকে পদদলিত করে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশে সৃষ্টি করেছিল এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। দেশের সর্বত্রই ছিল গুম-খুন, হত্যা-লুন্ঠন আর রাহাজানি। আয়না ঘর সৃষ্টি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সমাজের ভিন্নমতের মানুষের জীবনকে করে তুলেছিল দুর্বিষহ। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে ফ্যাসিবাদের সাম্রাজ্য ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে, পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট মাফিয়া হাসিনা। বর্তমানে দেশ ও জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল চলছে । দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে।

পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমদ সুইট বলেন, বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের আলোকে সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানান। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানায়।
তিনি বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে সরকারি ছুটি ও ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে নিহত ছাত্র জনতার আন্দোলনকে সৈরাচার পতন দিবস ঘোষণা করার দাবি জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শেখ খালেদ আহমেদ মিনহাজ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত পর্তুগাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কাজল আহমদ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল হক, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজমল আহমদ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শামসুজ্জামান জামান, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাকিম মিনহাজ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান শাহ জামাল, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম কে নাসির, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী পারভেছ, পর্তুগাল বিএনপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহফুজ সোহাগ, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য কাজী এমদাদ, পর্তুগাল বিএনপি নেতা মহিন উদ্দিন, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সাইদুল ইসলাম,পর্তুগাল বিএনপির সদস্য আব্দুল হাসিব,পর্তুগাল বিএনপির সদস্য কবির আহমদ, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য শাহাব উদ্দিন, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য তোফায়েল আহমদ, পর্তুগাল বিএনপি নেতা তানভীর তারেক, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য মোজ্জায়েম হোসেন কায়েস, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য বদরুল আলম, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য লিটন মিয়া, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য জাহেদ আহমদ, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সুজন ভুইয়া, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আজাদ হোসাইন, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য রুবেল চৌধুরী, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য জুবেল আহমদ, সান্তারাইম বিএনপির আহবায়ক সোহেল এ চৌধুরী, বেজা বিএনপি নেতা ময়নুল ইসলাম, লিসবন মহানগর বিএনপি নেতা সুমন ভূইয়া, পর্তুগাল সেচ্ছাসেবক দলের সিঃ যুগ্ম আহবায়ক গিলমান চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন, পর্তুগাল সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আমান, পর্তুগাল যুবদল নেতা মরতুজ আলী, পর্তুগাল যুবদল নেতা আবদুল লতিফ অনিক, পর্তুগাল যুবদল নেতা এস এম কাউসার আলম, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর আহবায়ক ইমরান আহমেদ ইমু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির আহমদ সদস্য সচিব কাজী ময়নুর।

আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল বিএনপি নেতা, কবির আহমেদ খান, পর্তুগাল বিএনপির সদস্য বদরুল আলম ,নাসির আহমদ, সৈয়দ রাসেল, মইন উদ্দিন সদস্য পর্তুগাল বিএনপি, আসাদ উদ্দিন, রাহুল আহমদ মতিন, মোহাম্মদ আজাদ আহমদ - সদস্য পর্তুগাল বিএনপি সাইফুর রহমান জুনেল, কাজী জুয়েল, পর্তুগাল যুবদল নেতা, এমদাদ স্বপন, জাবেদ হক, ইঞ্জিনিয়ার নিরব, কারি সায়েম, সুমন আহমদ, সায়েম তালুকদার, সুমন আহমদ, রায়হান আহমদ, জায়েদ আহমদ সোহাগ, আবদুল কাইয়ূম, লায়েছ আহমদ, ভেজা বিএনপি নেতা কামিল আহমদ, মারুফ আহমদ, বিল্লাল হাজারী, নাজমুল, রাজ্জাক আহমদ, কবীর আহমদ, মুস্তাক মিয়া,সামছুর রহমান, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন মিয়া, যুগ্ন আহবায়ক জয়নুল টিপু, সান্তারাইম বিএনপি নেতা আরিফ তালুকদার জাসাস পর্তুগাল শাখার ফারিকুল ইসলাম ফারুক, মাহদী মুন্না,আবদুল ওয়াহাব সুহেল সহ আর ও অনেকে।

সভায় পর্তুগাল বিএনপির পক্ষ থেকে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম মুনকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সাহসিকতার সাথে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য সম্মাননা সরুপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এছাড়াও পর্তুগাল বিএনপির পক্ষ থেকে পর্তুগাল যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, পর্তুগাল জাসাস, ও বেজা বিএনপি ও  পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবে 
ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সভা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন যুগ্ন আহবায়ক শেখ খালেদ আহমেদ মিনহাজ।