গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে ড. ই্উনুস সরকারকে মূল্য দিতে হবে : সৈয়দ মিনহাজ
স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইট'র সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসাতেই মূল অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিজেদের স্বার্থে নয়, জাতির স্বার্থেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন না দিলে ফ্যাসিস্টরা ফিরে আসতে চাইবে। তাই বলছি দ্রুত নির্বাচন দিন নইলে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবরো ফিরে আসলে এর দায় ড. ইউনুসের সরকার এড়াতে পারবে না।
তিনি সোমবার (১৮ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস'র উদ্যোগে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড চিরতরে বন্ধ, অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের আমলে গণতন্ত্রের পক্ষে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী রাজনীতিবীদের হয়রানী বন্ধের দাবিতে হোয়াইটচ্যাপেলের একটি হলরুমে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন।
আরো বলেন, ২৪'র ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ সক্রিয় করেছে। তাদের বাসায় গিয়েও পুলিশ হয়রানী ও তল্লাশি চালাচ্ছে। ফ্যাস্টিসদের দোসররা অসংখ্য মামলা করছে তাতে গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের ও নাম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইউনূস সরকারের ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও দেশের সংস্কার বা অগ্রগতি শূন্য। বিতর্কিতদের উপদেষ্টা করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আবারো পুনর্বাসনের চেষ্টা বলছে, অভ্যুত্থান ব্যর্থ ব্যর্থ করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। হাজারে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে ড. ই্উনুস সরকারকে এর মূল্য দিতে হবে।
স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইট'র সভাপতি ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম লোকমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজার পরিচালনায় সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আজিজুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইট'র উপদেষ্টা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতিবীদ কাজল আহমদ জালালী, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বাংলাদেশ সত্যের শক্তি'র সভাপতি রাকেশ রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ই.আর.আই'র সহসভাপতি হাসনাত আল হাবিব, সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ছাত্রনেতা বেলাল খান, সহসভাপতি ছাত্রনেতা আবু বক্কর সিদ্দীক, শেরওয়ান আলী, আজিজুর রহমান, সহসাধারন সম্পাদক মো. মাহি, উজ্জল আলম চৌধুরী, মিনহাজুল আম্বিয়া জাকের, ই.আর.আই'র সহসাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, সৈয়দ আব্দুল আজিজ মিলাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক রাহাদুল ইসলাম, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনা ইসলাম তানিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. নাজমুল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ অর্থ সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সিনিয়র সদস্য হালিমুল ইসলাম হালিম, সদস্য তানভির আহমদ তুষার, খালেদ নুর রহমান, আমিন আকবর, জুনায়েদ আহমদ, আব্দুল আজীম, আরিফ হোসেন, আশরাফুল আলম শামীম, হোসাইন আহমদ, মোমতাহিনা জাহান নাদিয়া, আব্দুল কাইয়ুম লায়েক, নাজমুল আহমদ, মো. আব্দুল হক, নাজমুল হোসেন, তামান্না ইসলাম, আল আমিন কবির সোহাগ, লায়েক আহমদ, সাইফুর রহমান, আরিফ হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচনের রুপরেখা দিতে হবে এবং বাংলাদেশ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চিরতরে বন্ধের উদ্যােগ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ছদরুল ইসলাম লোকমান বলেন, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের রিপোর্টে দেখা গেছে শুধু সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৫২ জন মানুষ, যা উদ্বেগের বিষয়। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষি মহল এখনো দেশকে অস্থির করে তুলে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসেনর পথ প্রশস্ত করছে।
লোকমান বলেন, এখনো তার এবং সংগঠেনর সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদিন রাজা, সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল খান, সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক ও সেরওয়ান আলীর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশীর নামে হয়রানি করা হচ্ছে।