গোয়াইনঘাটে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে স্বেচ্ছাসেবকদলের মতবিনিময় সভা
কাওছার আহমেদ রাহাত(সিলেট)গোয়াইনঘাট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,দেশনায়ক তারেক রহমান এর অঙ্গিকার সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণের গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের উদ্যোগে দিকনির্দেশনা মুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ই নভেম্বর(সোমবার)বিকেলে তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে তোয়াকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান মিজান র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিফতাউল কবির মিফতা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহদি হাসান মিনহাজ ও তোয়াকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এম.এ মতিন এর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুনিম, নুরুল হুদা দিপু, সৈয়দ সারোয়ার রেজা, টিটন মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য লাহিন আহমদে, গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহমেদ হুমায়ুন জামাল, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক হারুনু রশীদ। গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক বিলাল উদ্দিন উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্য কামাল আহমদ, সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এড. শাহেদ আহমদ, সদস্য সচিব মুমিনুল হক, গোয়াইনঘাট কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাদেক আহমদ, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল আহমেদ, গোয়াইনঘাট কলেজ ছাত্রদল নেতা ফাহিম আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল ইসলাম, যুবনেতা আনিসুল ইসলাম সালমান সহ অনেকেই।
"প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাকির মুর্শেদ বলেন, বিগত স্বেরাচারী খুনি হাসিনার সরকার কখনও জনগণের কল্যানে কাজ করেনি, ডামি সরকারের এমপি মন্ত্রীরা দূর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি লোট করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে, তথাকথিত এমপি ইমরান গোয়াইনঘাটে একফোঁটা উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের নামে লুটপাট আর ত্রাসের রাজত্ব করেছিল। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল।
"প্রধান বক্তার বক্তব্যে মিফতাউল কবির মিফতা বলেন,
আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাকশাল করেছিল। সেটা ছিল জবরদস্তি। কিন্তু বিএনপি সেটায় বিশ্বাস করে না বলেই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিএনপি উন্নয়নে বিশ্বাসী, দেশের মানুষের জন্য রাজনৈতি করে। সে জন্য বিএনপির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।
"বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল মুনিম বলেন, খুনি হাসিনা একটি স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শাসক ছিল, সে চলে গেছে। কিন্তু তাদের স্বৈরাচারী লোকজন এখনো বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মধ্যে আছে। তারা নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদি সবাই সচেতন না থাকে, তাহলে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আর তারা যদি বিশৃঙ্খলা করতে পারে, তাহলে এই যে হাজার হাজার নেতা-কর্মী, হাজার হাজার ভাই-বোন, শিশু জীবন দিল, সেটা ব্যর্থ হয়ে যাবে। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
"নুরুল হুদা দিপু বলেন, একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য দেশে দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় মসনদে বসানোর আগ পর্যন্ত আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। সকল চক্রান্ত রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবকদল সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
"সৈয়দ সারোয়ার রেজা বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আগামির বাংলাদেশ হবে সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
"টিটন মল্লিক বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও আমরা এখনও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পাইনি। আমাদের দল এখনও ক্ষমতায় আসেনি। আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যম নতুন সরকার গঠন হবে। দলের প্রতি সম্মান রাখতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে সবাই মিলে নির্বাচনে বিজয় এনে সরকার গঠন করতে পারলে দেশ নেতা তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে পাবো।
"আহমেদ হুমায়ুন জামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশনায়ক তারেক রহমান সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। দেশের মানুষ বিএনপির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের ন্যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল নেতাকর্মী সম্মুখ সারিতে থাকবে।
"হারুনু রশীদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপি সরকরের বিকল্প নেই তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশনায়ক তারেক রহমান এর হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের সবার জন্য দেয়া কামনা করেন।
"স্বাগত বক্তব্যে মাহদি হাসান মিনহাজ অতিথিদের বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানিয়ে আগত সকল নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর কেড়ে নিয়েছিল,গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছিল, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, কেউ কোনো কথা বলতে পারিনি। দেশকে একটি কারাগার বানিয়েছিল। বিগত দিনে বিএনপি শত শত নেতাকর্মী অনেক গুম, হত্যাসহ মামলা-হামলায় নির্যাতিত হয়েছেন। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লবের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
"এড. সাহেদ আহমদ বলেন, দীর্ঘ পনের বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের অনেক সহযোদ্ধা গুম–খুনের শিকার হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদলের কয়েকশতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগ ছিল গণতন্ত্র, দেশ ও জাতির জন্য। তাই শহীদদের সম্মানিত করতে আমাদেরকে অবশ্যই সৎ পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
"মুমিনুল হক বলেন, গত পনের বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য, দেশনায়ক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুদ্ধ করে আসছি। খুনি হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। শহিদ জিয়ার আদর্শ সৎ পন্থা অবলম্বন করে কাঙ্খিত বিজয়ের লক্ষে দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
"উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি মো.মিজানুর রহমান মিজান জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের তোয়াকুল ইউনিয়ন ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল,কৃষক দলের নেতৃবৃন্দদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ
তোয়াকুল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের মতবিনিময় সভায়
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জাতীয়তাবাদী পরিবারের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের প্রতি।