মোবাইল আসক্তিতে শিশুরা ধ্বংসের পথে -মিজানুর রহমান মিজান
মোবাইল আসক্তিতে শিশুরা ধ্বংসের পথে
-মিজানুর রহমান মিজান
মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি ইত্যাদি শিশুদের দৃষ্টি শক্তি ও লেখাপড়ায় ঘটছে, ঘটাচেছ বিপত্তি।লাখ লাখ শিশু ভোগছে দৃষ্টি শক্তি সমস্যায়।এ দাবানলের বিস্তার বাংলাদেশে ও ছড়াচেছ ভাইরাস রোগের মত। বিজ্ঞান দিয়েছে অনেক, কেড়ে নিচেছ তার থেকে অধিক।মোবইল যেমন সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখছে।তেমনি তার ব্যবহারে ক্ষেত্র বিশেষে পার্থক্যও রয়েছে বিদ্যমান।শুধু ব্যবহারের ক্ষেত্র বিশেষে ফেলে দিচেছ বর্তমান প্রজন্মকে।আগেকার দিনে মানূষ বিনোদনের জন্য খেলাধুলায় মগ্নতার ফলে মানুষ মানুষকে ভালবেসে ভ্রাতৃত্ববোধ, মমত্ব, মনুষত্ব প্রবণ ছিল।আজকের শিশু কিশোররা মোবাইল প্রাপ্তি সহজ লভ্য বা ব্যবহারে খেলাধুলার পরিবর্তে মোবাইলে খেলাধুলা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে ওরা মাঠে না গিয়ে বাস্তবতা ভিত্তিক খেলাধুলা পরিহার করে মোবাইলে সবকিছু দেখার প্রবণতায় হচেছ অধিক আকৃষ্ট।ফলে একা একা মোবাইল ব্যবহার করার প্রেক্ষিতে অন্যের সঙ্গবিহীন মন মনসিকতায় হচেছ প্রবাভিত।তার মানসিকতায় ও মননে গড়ে উঠছে একাকিত্ব, রুক্ষ মেজাজ মর্জিতে। মানবতা হচেছ অনেক ক্ষেত্রে বিবর্জিত।মোবাইলে খেলাধুলা, পর্ণ ছবি ও অন্যান্য সুবিধা অনায়াসে প্রাপ্তিতে একা বা সীমিত সংখ্যক বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করার সুবিধা পাচেছ। অনেক ক্ষেত্রে বন্ধুবিহীন ও থাকছে। ফলে উদাসীনতা, একাকিত্ব তাকে গ্রাস করছে অনায়াসে।
আমরা জানি ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি মানেই বয়স্ক লোক।এ ধারণা ছিল সবারই বদ্ধমুল।মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।সুতরাং এ দৃষ্টিতে সাধারণত মানুষের বয়স ৪০ অধিক হলেই দৃষ্টি শক্তিতে ক্ষীণতা আসে।আবার কম বয়সীদের ও যে এ সমস্যায় পড়ে না তা নিশ্চিত করা বলা সম্ভব নয়।তবে এ সংখ্যা হাতে গুণা।আর কারন হিসাবে ধৃত হলে হবে অপুষ্টির শিকার।কালের বিবর্তনে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কমছে।আর বাড়ছে ভয়াবহতায় ক্ষীণ দৃষ্টি শক্তির শিশু।এ সমস্যার মুলে কিন্তু বর্তমান চিত্র হল অপুষ্টির শিকার না হয়ে একক দায়ী তথ্য-প্রযুক্তি আসক্তি। আমি আমার অভিজ্ঞতাকে বলতে পারি মোবাইলের স্কীনের প্রতি অধিক সময় চেয়ে থাকার ফলে চোখের ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তিতে আক্রান্ত হবার সমস্যা।তাই দুরের জিনিষ দেখতে হলে চশমা ব্যবহারের প্রয়োজন। মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার আমাদের যাপিত জীবন যাত্রায় হয়ে উঠছে অপরিহার্য।অন্যদিকে বলা যায় জীবনের-ই অংশ।তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে জীবনের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাবার প্রবণতাকে সামনে রেখে আমাদের শিশুরাও হচেছ যুক্ত মোবাইল ট্যাবের আসক্তিতে।অতি আসক্তির ফলে শিশুদের বড় একটি অংশ হচেছ সর্বনাশের শিকার।এখানেই সমাপ্ত হলে তো আর কথাই ছিল না।আরো নানাবিধ শারিরিক ও মানসিক সমস্যা আবৃত। এখানে বলতে পারি এ আসক্তি থেকে আমাদেরশিশু কিশোরদের রক্ষা করতে হলে বাবা-মায়ের ভুমিকা নিতেই হবে। শিশুদের সার্বিক কল্যাণার্থে যাতে সর্বনাশা মোবাইল আসক্তি থেকে দুরে রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এ আসক্তি থেকে আমাদের সন্তানরা বেরিয়ে আসবে। রাস্তাঘাটে চলাফেরায় প্রায় সর্বত্রই পরিলক্ষিত হয় শিশু কিশোররা হেঁটে হেঁটে মোবাইল নামক যন্ত্রটাকে টিপতে।অবস্তাদৃষ্টে মনে হয় মোবাইল এর ব্যবহার শিশু কিশোরদের অঙ্গের সাথে মিশে গেছে।এ থেকে উত্তোরণের পথ বেঁচে নেয়া হবে সর্বোত্তম পন্থা।
লেখক মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সভাপতি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব, বিশ্বনাথ, সিলেট।