ওসমানীনগরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বিল দখল করে বিক্রির অভিযোগ
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউনিয়নের সাদি খালের লুম বিলে(জলাসয়) মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রায় কয়েক গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মানিক মিয়া ও তার সহযোগীরা উন্মুক্ত বিলের লুম দখলে নিয়ে সেই দখল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ১ অক্টোবর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৎসজীবীরা।
লিখিত অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদি খালের সাদিপুর ইউনিয়ন ও উমরপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে মাছ আহরণের লুম বিল যার দাগ নং ৪১১৭। সরকারি ভাবে এই বিলে মৎস্য আহরণের কোন নিষেধ না থাকায় এই বিলে মৎস আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ভরাউট, আন্দাইরকোনা, দূর্গাপূরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মৎসজীবীরা।
বিগত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বিলটি দখলে নেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মানিক মিয়া ও তার সহযোগী ফরহাদ মিয়া, ছইফুল মিয়া, জালাল মিয়া ও হারুন মিয়া।
সরকারি বিলটি দখলে নিয়ে বিগত কিছু দিন পূর্বে ভরাউট গ্রামের ডায়মন্ড নামের এক ব্যক্তির কাছে ৮৭ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিলটির দখল বিক্রি হওয়ায় স্থানীয় মৎসজীবীরা বিলে জাল ফেলে মাছ ধরতে গেলে তাদের বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এই নিয়ে দখলদার ও জেলেদের মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারী বিল দখলে নিয়ে বিক্রি করায় স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৎসজীবীরা।
তবে, বিলের দখল কিভাবে ক্রয় করলেন এই বিষয়ে ভরাউট গ্রামের ডায়মন্ড এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে বিলের দখল ক্রয় করেছি। মোট ৮৭ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। তবে বিলটির দখল এখনো আমরা বুঝে পাইনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মানিক মিয়া বলেন, লুম বিলটি সরকারি ইজারার নয়। আমাদের পাঁচহাটি পঞ্চায়িত মিলে বিলের দখল বিক্রি করা হয়েছে। এর আগেও একই ভাবে দখল বিক্রি করে সেই অর্থ এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করা হতো।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসরুপা তাসলিম বলেন, সাদি খালের লুম বিলটি সরকারি উন্মুক্ত বিল। এখানে জেলেরা উন্মুক্ত মাছ ধরতে পারেন। ইজারা দেয়া হয়েছে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি উপজেলা বা জেলা প্রশাসন বলতে পারেন।
অভিযোগের বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।