সকালে উঠে ঝটপট সেরে ফেলুন এই ছোট্ট কাজ, সপ্তাহভর উপচে পড়বে ত্বকের জেল্লা
সারা সপ্তাহ ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্যে তেমন সময় না পাওয়া গেলেও রবিবার কিন্তু প্রত্যেকেই হাতে কম বেশি সময় পান। তাই এদিন সকালটা কাজে লাগিয়ে যদি মনের মতো স্কিনকেয়ার করতে পারেন, তাহলে তো আর কথাই নেই। সারা সপ্তাহ যে ত্বকের সেরকম কোনও সমস্যা হবে না, সে কথা এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়। এখন প্রশ্ন হল, রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে স্কিনকেয়ার করবেন? বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে তা পরিষ্কার রাখা বিশেষ জরুরি। তাই প্রথম থেকেই হাইজিনের প্রতি নজর দিতে হবে। মনে রাখবেন, পরিষ্কার ত্বকে কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই থাকে।
এদিন সকালে উঠে প্রথমে হাতে জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপরে হাতে পরিমাণ মতো ক্লিনজার নিয়ে মুখে লাগান। ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
ক্লিনজিং এবং এক্সফোলিয়েশনের ফলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স অটুট রাখতে টোনিং করা মাস্ট!
একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার নিন। তারপরে সেই কটন প্যাড আপনার সারা মুখে বোলান। ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। এতে আপনার ত্বকের পিএইচ মাত্রা ঠিক থাকবে এবং আর্দ্রতাও অটুট থাকবে।
স্কিনকেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল এক্সফোলিয়েশন। আর তা হবে নাই বা কেন? ত্বকের হাল ধরে রাখতে যে স্ক্রাব সত্যিই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই রবিবার ফেস ক্লিনজিং করার পরে হাতে পরিমাণ মতো স্ক্রাব নিন। তারপরে সেটি আপনার মুখে লাগান। হাতের তালুর হালকা চাপে মাসাজ করুন। শেষে মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং প্রাকৃতিক জেল্লাও ফিরে আসবে।
ক্লিনজিং, এক্সফোলিয়েশন এবং টোনিংয়ের পরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া জরুরি। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখবে এবং ত্বকের উপরে তৈরি করবে এক সুরক্ষাস্তর।
এই গরমে আপনি জেল বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। তাতেই উপকার মিলবে ষোলো আনা।