https://www.bartomansylhet.com/

4035

bangladesh

প্রকাশিত

২৭ মে ২০২৪ ১১:০১

বরগুনায় বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত, নির্ঘুম কেটেছে রাত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে জেলা শহরসহ সেখানকার উপকূলের অনেক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকূলের বাসিন্দাদের।

এর আগে রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে বরগুনায় ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পরে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়তে থাকায় গভীর রাতে শত-শত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র ছুটে যান।

বরগুনা সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সদর উপজেলা এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পালের বালিয়াতলী ও বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকর এলাকায় বাঁধ ভেঙে ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা নজরুল ইসলামে বলেন, ‘আমাদের বাড়ি সংলগ্ন খালে অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে।’

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার সময় নদীতে জোয়ার থাকার কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় জোয়ার প্রবাহিত হয়। যা জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়। এসব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল পাঁচ থেকে সাত ফুট জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

সরেজমিনে রাত দুইটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। পুরাকাটা-বরইতলা সড়কের একটি বটগাছ ঝড়ের তাণ্ডবে পড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়তে দেখা গেছে, সেখানকার টাউনহল সেতুর উত্তর মাথা এলাকায়ও।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় এখানকার তিনটি নদীতে জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে।