ঈদ সংখ্যা
পথশিশুর ঈদ
মাহবুব-এ-খোদা
রোজার শেষে চাঁদ উঠেছে আবার এলো ঈদ,
অন্তরে আজ খুশির জোয়ার নেই যে চোখে নিদ।
অশ্রুসজল সেই শিশুটা ঘরবাড়ি নেই যার
সাহেব-বাবু নাম দিয়েছে পথশিশু তার।
ক্ষুধার জ্বালা ময়লা জামা নিত্য সাথী দুখ,
কোথায় পাবে ফিরনি-পায়েস, ব্যথায় কাতর বুক।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে যদি আনতে পারি সুখ,
ঈদের দিনে বঞ্চিতদের হাসবে মলিন মুখ।
সিয়াম সাধন
মোছাম্মৎ সীমা ইসলাম
জান্নাতের সব দরজা খোলা রমজানের এই মাসে,
সিয়াম সাধন করবো মোরা রবের খুশির আশে।
রমজান মাসে বরকত আসে রবের নিকট থেকে,
রাখরো রোজা পড়বো নামাজ ইমান খাঁটি রেখে।
তওবা করে চাইবো ক্ষমা পাপ যাবে সব মুছে,
দ্বীনের পথে জীবনটাকে নিবো মোরা গুছে।
রমজান মাস পেয়ে মোদের জীবন হলো ধন্য,
রোজা শেষে ঈদ আনন্দে সঞ্চয় করবো পুণ্য।
রোজার চাঁদ
কাজল আক্তার নিশি
আকাশে ওই চাঁদ উঠেছে এসেছে রামাদান
রোজার পরে ঈদ হবে তাই বয় যে খুশির বান।
সেহেরি খেয়ে নিয়ত করে নিব প্রভুর নাম
রোজা রাখলে মহান প্রভু দিবে প্রতিদান।
তারাবি পড়ে জিকির করে গায় যে রবের গান
একটি বছর ঘুরে আবার এসেছে রামাদান।
রোজা আসে প্রতিবছর একটা মাসের জন্য,
ফেতরা দিব গরিবের মাঝে দিব কিছু পণ্য।
খুশির আমেজ
গোলাম আজম খান
খুশির আমেজ চারিদিকে আসছে ঈদের দিন
ময়না শালিক টিয়া চড়ুই নাচে তা তা ধিন।
ফিঙে নাচে গাছের ডালে বার্তা খুশির শুনে
নতুন জামা পরবে গায়ে স্বপ্ন হাজার বুনে।
ফুল কলিরা সুবাস ছড়ায় পুবাল হাওয়ার তরে,
খুশির আমেজ উপচে পড়ে সবার ঘরে ঘরে।
কচিকাঁচার দলগুলো তাই ধরে নতুন সাজ,
সবুজ পাতার রিনিঝিনি দারুণ কারুকাজ।
মিষ্টি মধুর হাওয়া যে বয় এমন খুশির ক্ষণে,
কুশলাদি জানতে সবাই আসে জনে জনে।
দুর্ভিক্ষ-পীড়িত মন
সুমন বনিক
ডানা থাকলে আর উড়তে পারলে-ই
তাকে পাখি বলা সমীচীন নয়,
পাখির কণ্ঠে সুর আছে, সে-ই সুরেতে যাদু আছে
সে-যাদুতে মন মজে; তাল-লয়ের ছন্দ আছে
আছে পরিপাটি জীবনাচার।
তাই বাদুড়কে পাখি বলতে চাইনে,
তবুও তুমি বাদুড়কে পাখির তকমা মেখে
তর্ক জুড়ে দিচ্ছো বারবার।
দেখো পার্কের কোণায় নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে
কালের সূর্য তলিয়ে যাচ্ছে,
গোধূলির আবির ছড়িয়ে আরও একটি দিন হারিয়ে গেল
জীবনের রিলেরেসের ট্যাক-থেকে।
আমাদের ভালোবাসামাখা দিনগুলো
ডাবের-খোসার মত পড়ে থাকবে যত্রতত্র।
তার-চে বরং মনের-খরা কাটিয়ে
আমাদের মগজের জমিনে সাদাকালো ফসলের চাষ করি,
আমরা কী অবারিত ফসলের হাসি দেখব না?
শোনব-না ভোরের-দইয়লের শিস?
তুমি কি সেই
আহসান জামান
তুমি কি সেই হারানো সময়ের নুঁড়ি
অসংখ্য স্মৃতির কারুকাজ
কেবলই ছায়া নাচে গল্পের মৃণালে।
তোমার চোখে ওড়ে আকাশের নীল
আর মেঘ ভেলায় ভেসে যায় ব্যাপক ইচ্ছেরা
রাত্রি ফুরিয়ে এলে; উঁকি দেয় ভোরের
শিশির মাখা প্রভাতী আলোয় নেমে আসে
গল্পের শিরোনামগুলো; অসংখ্য পদাবলী।
তুমি কোনো আনমনা নদী, ঝর্ণাজলে
স্মৃতির স্নান; আমি এক নিস্তব্ধ পাহাড়
কেবলই ভিজে যাই অবিরাম অভিলাষে।