হাসি শরীরকে রাখে সতেজ
হাসার সবচেয়ে সুলভ ও সহজ উপায় হলো নিজেকে হাসানো। অর্থাৎ নিজের কোনো মূর্খামিতেই হাসুন। যেমন, মনে করতে চেষ্টা করতে করুন অজান্তে আপনারই করা কোনো ভূল বা মূর্খামির কথা। এমন কোনো কথা ভাবুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। দেখবেন হাসি আসবেই। ঘরে হোক বা অফিসেই হোক, মাঝে-মধ্যে সময় বের করে পরিবারের সদস্য, সহকর্মী বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঠাট্টা করুন। তবে দেখবেন, আপনার ঠাট্টা যেন কারও মনে আঘাত না করে। হাসিফূর্তির এমন কিছু মুহুর্ত আপনাকে সতেজ করে রাখবে। রাস্তায় হাঁটাচলা করতে গেলে এমন অনেক কিছু আমাদের চোখে পড়ে যা হাসির খোরাক জোগাতে যথেষ্ট। যেমন, কোনো মানুষের হাঁটার ধরন বা কারও কিছু অদ্ভূত কাণ্ডকারখানা। মাঝরাস্তায় না হাসলেও পরে অবশ্যই তা মনে করে আপনি হাসতে পারেন।
অন্যেও নকল করতে পাড়ায় বিদ্যা যদি আপনার থাকে তাহলে তো কথাই নেই। নিজের পাশপাশি পরিবারে সদস্যদের বা বন্ধুদেরও মন জয় করতে পারবেন আপনি। আর যদি না থাকে, আর অন্য কেউ যদি কারও নকল করে দেখায়, তাও প্রাণ খুলে হাসার জন্য যথেষ্ট নয় কি? নিজের অজ্ঞতা চিন্তা করে হাসুন। অর্থাৎ নতুন কোনো প্রযুক্তি যার ব্যবহার করতে গিয়ে প্রথমবার আপনাকে বিপাকে পড়তে হয়েছে ইত্যাদি। সে সময় হয়তো আপনার হাসি পায়নি। তবে পরে মনে করুন, দেখবেন একগাল হাসি আপনি ফুটে উঠবে। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। তাদের গল্প পড়ে শোনান, তাদের সঙ্গে কার্টুন দেখুন। তাদের আধফোটা কথা, অদ্ভূত কান্ডকারখানা আপনাকে নিশ্চয় আনন্দ দেবে। দেখবেন হাসি আসতে বাধ্য। অন্যের চর্চা করে হাসা এক সহজ উপায়। অন্যের ভুল ধরে আমরা সবসময়ই আনন্দ পাই।
তবে মনে রাখবেন, কেউই পারফেক্ট হয় না। সব মানুষই ভালো খারাপ নিয়ে গঠিত। তাই যার ভুল ধরবেন, তার ভালোটাও দেখবেন। লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনার ঠাট্টা কাউকে দুঃখ না দেয়। প্রিয়জনের কথা মনে পড়লেই সাধারণত ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে হাসি। সময় পেলেই মনে করুন, আপনাদের কাটানো একান্ত সময়ের কথা, খুনসুঁটির কথা ইত্যাদি। মনকে সতেজ রাখার এর চেয়ে ভালো উপায় মনে হয় না আর আছে। যদি এমন কোনো মানুষ পাচ্ছেন না যিনি আপনার সঙ্গে হাসতে পারেন যা এমন কোনো ঘটনাও মনে পড়ছে না হাসার মতো, তাও অসুবিধে নেই। আয়নার সামনে দাঁড়ান। নিজেকে দেখুন। বিভিন্ন আয়নায় নিজেকে দেখুন। দেখবেন আপনার হাসি পাবেই।